রাজস্ব লুট : সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিন
- আপলোড সময় : ২৪-০১-২০২৫ ১০:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-০১-২০২৫ ১০:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন
গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি দৈনিকে এইমর্মে সংবাদ বেরিয়েছে, ‘রাজস্ব লুটে যুক্ত ছিলেন সাবেক এমপি রনজিতও’। এই শিরোনামের নিহিতার্থ এই যে, তাঁর আগের এমপিরাও কমবেশি এবংবিধ রাজস্ব লুটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সত্যি পরিতাপের বিষয়। প্রতিবেদনের বিস্তৃত পরিসরে তার বিবরণ উদ্ধৃত হয়েছে। বলা হয়েছে, “প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সুনামগঞ্জ-১ আসন। হাওর-নদী-পাহাড়ের মিশেলে এই আসনে রয়েছে তিনটি শুল্ক স্টেশন, জলমহাল ও বালু মহাল। যা থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায়। অভিযোগ রয়েছে, এই আসনে গেল প্রায় ৩০ বছর ধরে যারাই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নিজের উদরপূর্তি করার চেষ্টা করেছেন। তবে সাবেক এমপি মোয়াাজ্জেম হোসেন রতনের সময়কালে এই লুটতরাজ বাড়তে থাকে। পূর্ণতা পায় কয়েক মাসের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকারের সময়কালে। তিনি নির্বাচিত হবার পর বিভিন্ন বাজার, নৌ-ঘাটে খাস কালেকশনের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।”
কিন্তু তাঁদের এই আত্মসাতপ্রবণতার উপস্থিতির বিপরীতে সেটাকে প্রতিহত করার কোনও প্রশাসনিক প্রচেষ্টাপ্রবণতা অনুপস্থিত ছিল। বরং আমলাতান্ত্রিকতার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বাহ্যিক অনুষ্ঠানসর্বস্বতাসহ কোন ব্যক্তি, চক্র (সিন্ডিকেট) বা মহল বিশেষের স্বার্থরক্ষার্থে আইনের প্রয়োগ করে অবৈধকে বৈধ করে তোলা কিংবা অনিয়মকে নিয়ম করে তোলা, আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রতিকারে উপেক্ষা প্রদর্শন ইত্যাদির কল্যাণে সুনামগঞ্জের জলমহাল, বালুপাথর মহাল, শুল্ক স্টেশনগুলো দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পর্যবসিত হয়েছিল এবং ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেও এখনও তেমনটাই বহাল আছে, কেবল নিয়ন্ত্রণের হাত বদল ঘটেছে মাত্র।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুনামগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা কেবল এই যে, ভবিষ্যতে যাতে এইসব শুল্ক স্টেশন, জলমহাল ও বালু-পাথর মহালগুলো লুটপাটের ক্ষেত্র হয়ে না উঠে তার ব্যবস্থা করুন। ভুলে গেলে চলবে না, সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেওয়াই সবচেয়ে উত্তম। বিদ্যমান আইনে সাধারণ মানুষের ও রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষাকারী আইনের ধারাসমূহ যথাযথ পালনপ্রয়োগের ব্যবস্থা করাসহ প্রয়োজনে যুগোপযোগী জনকল্যাণমুখি আইন প্রণয়ন করুন, যাতে দুর্নীতি করার ফাঁক-অবকাশ আর না থাকে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ